হাসানুজ্জামান সিদ্দিকী হাসান নীলফামারী প্রতিনিধিপ্র:য়োজনের তুলনায় অর্ধেক শ্রেণিকক্ষ, আর শিক্ষক স্বল্পতা নিয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার খুটামারা ইউনিয়নের পূর্ব খুটামারা মাঝাপাড়া দাখিল মাদ্রাসার পাঠদান কার্যক্রম। এই প্রতিষ্ঠানের ৫টি শ্রেণীর প্রায় ২৬০ জন শিক্ষার্থীর জন্য ১০;টি কক্ষের প্রয়োজন হলেও আছে ৫ টি। ঐতিহ্যবাহী এই প্রতিষ্ঠানটিতে রয়েছে শিক্ষক সংকটও।
মঙ্গলবার সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, উপজেলার খুটামারা ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের পুর্ব খুটামারা এলাকার মাঝাপাড়া দাখিল মাদ্রাসা টি ১৯৯৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠানটিতে সময়ের ব্যবধানে শিক্ষার্থী বেড়ে যাওয়ায় শ্রেনি কক্ষের সংকট সৃষ্টি হয়। এদিকে শ্রেণিকক্ষের অভাবে এক কক্ষে চলে পাঠদান। ফলে লেখাপড়ায় ব্যাহত হচ্ছে। কক্ষের অভাবে টেবিল বেঞ্চসহ অন্যান্য আসবাবপত্র নষ্ট হচ্ছে।
ওই এলাকার বাসিন্দা হাসান মামুন বলেন, বছরের শুরুতে আমার এক সন্তানকে মাদরাসায় ভর্তি করাতে এসে জানলাম প্রতিষ্ঠানের একডেমিক ভবন ও শিক্ষক সংকট রয়েছে। তবু ভর্তি করিয়েছি। ভবন ও শিক্ষক সংকটের বিষয়টি দ্রুত সমাধান করা জরুরি।
’ভবন ও শিক্ষক সংকটের কথা জানিয়ে এক শিক্ষক বলেন, ‘নবম দশম শ্রেণিতে বিজ্ঞান, বাণিজ্য আর মানবিক শাখা থাকলেও একই কক্ষে পাঠদান করায় শিক্ষার গুণগত মান রক্ষা হচ্ছে না।মাদরাসার সুপার বলেন, ভবন ও শিক্ষক সংকট রয়েছে প্রতিষ্ঠার পর থেকে। তবে ভবন ও শিক্ষক সংকটের কথা উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মাদরাসাটিতে শিক্ষার্থীদের পাঠদানের জন্য নতুন একটি ভবন খুবই জরুরি। জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভায় বিষয়টি তুলে ধরবো।
এ বিষয়ে জেলা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, জলঢাকা উপজেলার খুটামারা ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের পুর্ব খুটামারা এলাকার মাঝাপাড়া দাখিল মাদ্রাসাটিতে ভবন সংকটের কারণে পাঠদান বিঘ্ন হওয়ার বিষয়টি প্রতিষ্ঠান প্রধান আমাকে জানিয়েছেন। বিদ্যালয়ে নতুন একটি একাডেমিক ভবন নির্মাণের চেষ্টা চলছে।
প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা কমিটির আহবায়ক কামরুজ্জামান জানান আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রতিষ্ঠানের সুপারএকাডেমিক ভবন সংকটসহ অন্যান্য সমস্যার কথা তুলে ধরেছেন। স্বল্প সময়ে একটি নতুন একাডেমিক ভবন নির্মাণসহ অন্যান্য সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চালাচ্ছি।’









