ঢাকামঙ্গলবার , ৫ মার্চ ২০২৪
  • অন্যান্য
Tanim Cargo
আজকের সর্বশেষ সবখবর

নরসিংদীতে রোজার আগেই নিয়ন্ত্রণহীন ভোগ্যপণ্যের বাজার

আজকের বিনোদন
মার্চ ৫, ২০২৪ ১:২০ অপরাহ্ণ । ৮৪ জন
Link Copied!
দৈনিক আজকের বিনোদন সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আশিকুর রহমান :-

রোজার শুরু হওয়ার আগেই নরসিংদীর বাজার গুলোতে একের পর এক বাড়ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের দাম। এদিকে আসন্ন রোজা উপলক্ষে বাজার নিয়ন্ত্রণ রাখার একাধিক ঘোষণা ও হুঁশিয়ারি দিলেও তা আমলে নিচ্ছে না পাইকারি ব্যবসায়ী ও খুচরা দোকানিরা। এতে করে নিয়ন্ত্রণহীন পড়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্য। এদিকে পাইকারি বাজারে চাল সরবরাহে কোনো সংকট না থাকলেও এক সপ্তাহে সব ধরনের চালের দাম বেড়েছে কেজিতে প্রায় ৪-৫ টাকা করে। রোজাকে ঘিরে ছোলার পাশাপাশি সকল ধরনের ডালের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। নরসিংদী’র বড়বাজার ঘুরে দেখা গেছে, খুচরা বাজারে আমদানি করা বড় দানার (ফাটা) মসুর ডাল ১১০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা গত সপ্তাহে ছিল ১০০-১১০ টাকা। দেশি মসুর ডাল প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা, গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ১৩০-১৩৫ টাকায়। আমদানি করা কেঙ্গারু ডাল বিক্রি হচ্ছে ১৪০-১৫০ টাকায়, গত সপ্তাহে এর দাম ছিল ১৪০ টাকা। খেসারি ডাল প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১১০ টাকা। তা গত সপ্তাহে তা বিক্রি হয়েছিলো ৮০-৮৫ টাকায়। অর্থাৎ একসপ্তাহের ব্যবধানে প্রকারভেেদে সকল ধরনের ডালে প্রতিকেজি দাম বেড়েছে ১০-১৫ টাকা। আর ভালমানের প্রতিকেজি ছোলা বিক্রি হচ্ছে ১১০-১২০ টাকায়। এর আগে ছোলা প্রতিকেজি বিক্রি হয়েছিলো ৮৫-৯০ টাকায়। চিনি বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ১৪০-১৪৫ টাকা, গত সপ্তাহে এর দাম ছিল ১২০-১২৫ টাকা। সরকার ঘোষিত সোয়াবিন তেল প্রতিলিটার (বোতলজাত) ১৬০ টাকা নির্ধারণ করা হলেও তা মানছে না দোকানিরা। তারা বিক্রি করছেন ১৬৫-১৭০ টাকা। গরু ও খাসীর মাংসের দাম পৌর বা জেলা প্রসাশন থেকে নির্ধারণ না করায় লাফিয়ে বাড়ছে গরু-খাসী মাংসের দাম। এতে করে ক্রেতারা পড়েছেন ভোগান্তিতে। খুচরা বাজারে প্রতিকেজি গরুর মাংস ৭২০থেকে ৭৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এর আগের সপ্তাহে ছিল ৬৫০-৭০০ টাকা। প্রতিকেজি খাসির মাংস ১১০০ থেকে ১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এর আগের সপ্তাহে ছিল ১০০০-১০৫০ টাকা। অপরদিকে প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি ১৯০ টাকা থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা আগে ছিল প্রতিকেজি ১৬০-১৭০ টাকা। সকল ধরনের ডিমের বাজার উর্দ্ধ মুখোমুখি। প্রতি হালি লেয়ার ডিম বিক্রি হচ্ছে ৪৮ টাকায়। ভরা মৌসুমেও চালের বাজার অস্থিতিশীল। গত সপ্তাহের তুলনায় সকল ধরনের চাল বস্তা প্রতি বেড়েছে ৬০-১০০ টাকা। পেঁয়াজের বাজারে আগুন লাগায় ক্রেতাদের হাতের নাগালের বাইরে চলে গেছে পেঁয়াজের দাম। বর্তমানে পেঁয়াজ (দেশি) প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১২০ টাকা। বার্মিজ পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়। তরকারির বাজার স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে। তবে কাঁচা মরিচের দাম কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। মাছ বাজারে মাছের আকাল দেখা দিয়েছে। তবে চাষের মাছে কিছুটা হলেও বাজার দখলে রয়েছে। নদীর প্রতিকেজি মাছ বিক্রি হচ্ছে ১১০০ টাকা থেকে ১২০০ টাকায়। চাষের (পুকুর) মাছ প্রতিকেজি পাবদা শিং, টেংরা, কৈ, মাগুর, চিত্রল বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা। আর রই, কাতলা, ঘাসকার্প ইত্যাদি বিক্রি হচ্ছে ৩২০ থেকে ৪০০ টাকায়।
খুচরা দোকানিদের সাথে কথা বলে জানা যায়, এক রোজা। অন্যদিকে পণ্য সংকট। সেজন্যই জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে। আমাদেরকে বিভিন্ন কোম্পানি দাম বেঁধে দেয়। তাদের দামে আমরা ক্রেতাদের কাছে পণ্য বিক্রি করে থাকি। দাম বাড়ানোর সুযোগ আমাদের নেই। কেননা প্রতিটি পণ্যের গায়ে মূল্য দেওয়া থাকে। আমরা সেই মূল্যে পণ্য বিক্রি করি।
বাজারে আসা একাধিক বলেন, আমরা মধ্যবিত্তরা কোনো রকম টিকে আছি। সংসার চালাতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে। আয়ের থেকে ব্যয় বেশি। যেভাবে জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে সংসার চালাতে এখন বেগ পেতে হচ্ছে। সরকার যে জিনিসের দাম কমায়, বাজারে এসে দেখি সেই জিনিসের দাম আরও বৃদ্ধি পায়। ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের হাতে সরকার জিম্মি হয়ে পড়েছে। কোনো ভাবেই তাদেরকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। দেশটা যেন মগের মুল্লুক হয়ে গেছে। যা খুশি তাই তারা করছে। এভাবে চলতে পারে না। এসব সিন্ডিকেটদের দ্রুত গুঁড়িয়ে দিতে সরকারকে এখনই পদক্ষেপ নিবে হবে।

Tanim Cargo
Tanim Cargo