কোটচাঁদপুর (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি :
কোটচাঁদপুরে প্রগ্রেসিভ লাইফ ইনশিওরেন্স কোম্পানির
অর্ধশত বীমা গ্রাহক মেয়াদ পূর্তি তিন বছর পরো টাকা ফেরত পাচ্ছে না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বীমা আইনে স্পষ্ট উল্লেখ আছে বীমা গ্রাহকের বীমার মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার পর তিন মাসের স্থলে তিন বছর পার হয়ে গেলেও প্রগ্রেসিভ লাইফ ইনশিওরেন্স কোম্পানী গ্রাহককে টাকা ফেরত দিচ্ছে না। বিভিন্ন অজুহাতে বছরের পর ঘুরাচ্ছে। এ বিষয়ে কথা হয় বীমা গ্রাহক কোটচাঁদপুর হালদার পাড়ার দিলীপ কুমার দে জানান, প্রগ্রেসিভ লাইফ ইনশিওরেন্স কোম্পানীতে বীমা করেছিলাম পরিবারের ভবিষ্যতের কথা ভেবে। কিন্তু ২০২০ সালে আমার বীমার মেয়াদ শেষ হলেও এখন ২০২৪ সালে এসেও আমার বিমাকৃত পাওনা টাকা কোম্পানি ফেরত দিচ্ছে না। এমন বিপদে পড়তে হবে জানলে বীমা করতাম না। কথা হয় দুধসরা গ্রামের বীমা গ্রাহক আবুল কাশেম ও মনোয়ারা খাতুনের সাথে।
তারা জানান, প্রগ্রেসিভ লাইফ ইনশিওরেন্স কোম্পানিতে বীমা করেছিলাম ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে। মেয়াদ শেষে একসাথে
অনেকগুলো টাকা পেয়ে একটা কিছু করাতে পারবো। কিন্তু এখন দেখছি মেয়াদ পূর্তির ৩ বছর পরও আমাদের জমাকৃত
টাকাই ফেরত পাচ্ছি না। আমরা কোম্পানী জমা রশিদের মাধ্যমে এলাকার বীমা এদের নূর মোহাম্মদের কাছে টাকা জমা দিয়েছিলাম। এরকম বীমার টাকা ফেরত না পেয়ে হাহুতাস করছে এলাকার অর্ধশত গ্রাহক। এদিকে এলাকার যেসব মাঠ কর্মী এজেন্ট হিসাবে কাজ করেছিল তারা বীমাগ্রাহকদের অশ্রাব্য গালিগালাজ এবং বিভিন্ন প্রকার হুমকি ধামকিতে বাড়ি ঘরে টিকতে পারছে না। এ বিষয়ে কথা হয় প্রগ্রেসিভ লাইফইন্সিওরেন্স কোম্পানির এজেন্ট বা মাঠকর্মী কোটচাঁদপুর উপজেলার দুধসরা গ্রামের মাদ্রাসার শিক্ষক নূরমোহাম্মদ এর সাথে তিনি ক্ষোভের সাথে সাংবাদিকে বলেন
বীমা কোম্পানী যে এত খারাপ তা আমার জানা ছিল না। আগে যদি জানতাম তাহলে বীমার কাজে কখনও যেতাম না
কয়েক টাকা কমিশনের জন্য এলাকার মানুষের বীমা করিয়ে
এখন মান ইজ্জত নিয়ে এলাকায় বেচে থাকায় কষ্ট। আমার একক ও মাসিক বীমাসহ মোট ২৮ জন গ্রাহক আছে। এদের বীমার মেয়াদ ২-৩ বছর আগেই শেষ হলেও প্রোগ্রেসিভ লাইফ
ঢাকার প্রধান কার্যালয় থেকে কোন চেক দেওয়া হচ্ছে না। অফিসের মোবাইলে বা ফোনে একাধিকবার কল করেও কেউ
রিসিভ করতে চায়না রিসিভ করলে বিভিন্ন অজুহাতে মাসের পর মাস বছরের পর বছর ঘুরিয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছে। কথা হয় ঝিনাইদহ জেলার এক সময়ের প্রগ্রেসিভ লাইফ ইনশিওরেন্স কোম্পানির জেলা ম্যানেজার ইসরাইল হোসেন মনোজ এর সাথে। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, ভাই প্রগ্রেিসভ লাইফ
ইনশিওরেন্স কোম্পানীতে কাজ করতে যেয়ে মান ইজ্জত সবাই গেছে। গ্রাহকরা দীর্ঘদিন যাবত বীমার টাকা ফেরত না পেয়ে এখন বাড়িতে এসে মারমুখি হয়ে গালিগালাজ করছে। হেড অফিসে যোগাযোগ পর বছর ঘুরিয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছে। আর বলছে নতুন করে কাজ শুরু করতে আর নতুন কোন
পলেছি গ্রাহক দেন তাহলে টাকা ফেরত পাবেন। বীমা কোম্পানীতে এমন আইন আছে বলে আমার জানা নেই। বর্তমানে আমার একক বীমার গ্রাহক সংখ্যা ৮ জন। এরা দীর্ঘ
৩ বছর যাবত টাকার জন্য আমার কাছে ঘুরছে। আমি ঢাকা হেড অফিসে এমডির সাথে মোবাইলে একাধিক বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছি। ফোন দিলেও রিসিভ করতে
চায় না।আর রিসিভ করলেও বলে বর্তমানে কোন ফান্ড নেই।
ফান্ড আসলেই চেক ছাড়া হবে। এভাবেই ৩ বছর যাবত ঘুরিয়ে
নিয়ে বেড়াচ্ছে। এর মধ্যে ৩ জন এমডি পরিবর্তন হয়েছে, তবুও
গ্রাহক টাকা ফেরত পায়নি। এ বিষয় নিয়ে প্রগ্রেসিভ লাইফ ইনসিওরেন্স কোম্পানী ঢাকা প্রধান কার্যালয়ে এমডি মিজানুর
রহমান শিপনের মোবাইলে কথা হলে তিনি জানান, আমি যে সব কর্মকর্তারা ছিলেন তারা এ সমস্যা সৃষ্টি করে গেছে। বর্তমানে কোন ফান্ড নেই। ফান্ড আসলে গ্রাহকরা চেক পাবে।
কবে ফান্ড আসবে আর কত দিনের মধ্যে গ্রাহক চেক পাবে তার সদউওর তিনি দিতে পারেননি।