নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা :
ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ সুফি স্টাডিজ-এর প্রতিষ্ঠাতা ড. সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভাণ্ডারী আল-হাসানী ওয়াল-হুসাইনী তুরস্কে আন্তর্জাতিক সায়েন্টিফিক সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন। ২৫শে এপ্রিল, তিনি তুরস্কের ইমাম এ আজম কোরআনিয়া হাফেজিয়া মাদরাসাসহ ২ টি দরসে নিজামী মাদ্রাসা পরিদর্শন করে বাংলাদেশ ও তুরস্কের মাদ্রাসার বিভিন্ন ব্যবস্থাপনা, সুযোগ-সুবিধা, প্রযুক্তি ও মানের পার্থক্য নিরূপণের চেষ্টা করেন। তিনি এক বার্তায় বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের অধিকাংশ জনগণ মুসলিম এবং হানাফি মাযহাবের অনুসরন করেন।
বাংলাদেশে মাদ্রাসার সংখ্যা অনেক হলেও, বিভিন্ন আধুনিক প্রযুক্তি ও সুযোগ সুবিধায় আমরা পিছিয়ে বলে কাঙ্ক্ষিত মান নিশ্চিত হচ্ছে না। আমাদেরকে মনে রাখতে হবে, একবিংশ শতাব্দী চতুর্থ শিল্পবিপ্লব ও আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সীর শতাব্দী। বাংলাদেশও উদ্ভাবনী, জ্ঞানভিত্তিক, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্য নিয়েছে ২০৪১ সালের মধ্যে। সুতরাং মাদ্রাসাগুলোরও আধুনিকায়ন জরুরি। এছাড়া মাদ্রাসা ও অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মাঝে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি করা, শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা রক্ষা এবং নৈতিক উৎকর্ষ সাধনে আমাদেরকে মনোযোগী হতে হবে।
২১শে এপ্রিল, ২০২৪ থেকে ড. সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভাণ্ডারী বাংলাদেশ থেকে বিশেষ প্রতিনিধি ও অতিথি হিসেবে আন্তর্জাতিক এ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেছেন। পাশাপাশি তিনি তুরস্কের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান পরিদর্শন করছেন। সম্মেলনে প্রায় ৩০টি দেশের শীর্ষ সুফি স্কলার, চাতালজাইফতা বোর্ডের মুফতি, বুদ্ধিজীবী, মাদরাসা পরিচালক, পরিচালনা পরিষদের সদস্যবৃন্দ এবং তুরস্ক সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তাবৃন্দ অংশগ্রহণ করেছেন।