কালিগঞ্জ (গাজীপুর) প্রতিনিধি :
গাজীপুর কালীগঞ্জের ভূমি রেজিস্ট্রি অফিসের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া উপজেলা-শ্মশান খোলা সড়কটি ছিল কাঁচা মাটির। একসময়ের সরু সড়ক এডিবির অর্থায়নে এখন ১৮ ফুট চওড়া সড়কের সাথে ৭ ফুট গভীর ড্রেনেজ সিস্টেমের কাজ চালু হয়। কিন্তু সড়কের ওপরে থাকা বিদ্যুতের ৪টি খুঁটি সরানো নিয়ে জটিলতা থাকায় সংস্কারকাজ শুরু হয় কিছুটা দেরি করে। খুঁটি সরাতে পৌরসভা এবং বিদ্যুৎ বিভাগের মধ্যে বারবার আলাপ আলোচনা করা হলেও এখন পর্যন্ত কোনো ফল হয়নি।তাই সড়কের উপর খুঁটি রেখেই কাজ শুরু করছে পৌরসভা। এতে যান চলাচলে সমস্যার পাশাপাশি দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
পৌরসভা অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলা থেকে শুরু হয়ে শীতলক্ষা নদীর কোল ঘেঁষে শ্মশান খোলা পর্যন্ত প্রায় ৬০০ মিটার দীর্ঘ সড়কটি বহুদিন ধরেই কাঁচা অবস্থায় ছিল। স্থানীয়দের দাবির প্রেক্ষিতে সড়কটি পাকা করনের উদ্যোগ নেয় পৌরসভা কর্তৃপক্ষ। এডিবির অর্থায়নে প্রায় ৭কোটি ৭৭ লক্ষ টাকা ব্যয়ে সড়কটি নির্মাণ করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মিঠু এন্টারপ্রাইজ। ১৮ ফুট চওড়া সড়কটিতে প্রায় ১০ ফুট গভীর ড্রেনেজ সিস্টেম সংযুক্ত হয়। কিন্তু কাজ করতে গিয়ে বিপত্তি বাঁধায় সড়কটির উপরে থাকা ৪টি বৈদ্যুতিক খুঁটি। এই খুঁটির ব্যাপারে পৌরসভা এবং পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের মাঝে বেশ কয়েকবার আলোচনা হয়। কিন্তু তাতে সুফল মেলেনি অবশেষে পৌরসভা কর্তৃপক্ষ সড়কে বিদ্যুতের খুঁটি রেখেই শুরু করেছে সড়ক পাকা করনের কাজ। এখন সড়কের দক্ষিণ দিকে ড্রেনের কাজ শেষে সড়ক রোলিংয়ের কাজ শুরু হয়েছে। এদিকে সড়কের প্রায় ১০ ইঞ্চি ভেতরেই রয়েছে বিদ্যুতের খুঁটি। কাজ শেষ হলে এসব খুঁটির কারণে যান চলাচলে সমস্যা হবে সাথে ঘটতে পারে দুর্ঘটনাও।
উপজেলার বাসিন্দা মোঃ আতিক হোসেন বলেন, উপজেলার পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া একমাত্র সড়কটি সরাসরি শীতলক্ষ্যার পার হয়ে শ্মশান খোলা গিয়ে পৌঁছেছে। যেহেতু একটি ধর্মীয় উপাসনালয় এখানে রয়েছে সেহেতু এখানে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের প্রায়শই যাতায়াত করতে হয়। সড়কের উপর বিদ্যুতের খুঁটি থাকলে নিঃসন্দেহে তা কোনো না কোনো দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করব যত দ্রুত সম্ভব বিদ্যুতের খুঁটি সরিয়ে সড়ক সংস্কারের কাজ করার জন্য।
পৌর প্রকৌশলী মন্নুর আহমদ বলছেন, একসময় ওই সড়ক কাঁচা ও সরু ছিল। এখন ১৮ ফুট প্রশস্ত হবে সাথে থাকবে পয়:নিষ্কাশনের জন্য গভীর ড্রেনেজ সিস্টেম। এ কারণে সড়কের মধ্যে বিদ্যুতের ৪টি খুঁটি সরাতে হবে। এ জন্য বেশ কিছুদিন আগে থেকেই পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের সাথে থানা আলোচনা করে যাচ্ছি। কিন্তু তারা কোনো উদ্যোগ না নেওয়া এখন খুঁটিগুলো যেভাবে আছে, সেভাবে রেখেই কাজ শুরু করা হয়েছে।
পল্লী বিদ্যুতের উপব্যবস্থাপক প্রকৌশলী আক্তার হোসেন বলেন, পৌরসভা থেকে আমাদের সাথে কয়েকবার যোগাযোগ করেছে। সবকিছু একটি সিস্টেমের মধ্যে দিয়েই যায়। আমরা তাদের কাছে সময় চেয়েছি এবং জানিয়ে দিয়েছি খুঁটিগুলো আমরা সরানোর ব্যবস্থা করব। এখন তারা যদি সেগুলোর উপর দিয়েই সড়কের সংস্কার কাজ চালায় তাহলে তার দায় তাদের। তবে আমরা খুব শীঘ্রই এই খুঁটি সরানোর ব্যাপারে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
এদিকে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মিঠু এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মনির উদ্দিন মিঠুর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।