শেকৃবি প্রতিনিধি: রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) ২০২৩-২৪ সেশনের (৮৩ তম ব্যাচ) ভর্তিকৃত সকল শিক্ষার্থীদের জন্য শতভাগ আবাসিক হলে সিটের ব্যবস্থা, গণরুম বাতিল, মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স, তথাকথিত র্যাগিং ও সেশনজট মুক্ত ক্যাম্পাস এবং লেজুড়বৃত্তিক রাজনৈতিক কর্মকান্ড বন্ধের ঘোষণা দিয়েছেন শেকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল লতিফ। শেকৃবির টিএসসি তে অনুষ্ঠিত নবীন শিক্ষার্থীদের অভিভাবকের সাথে মতবিনিময় সভায় এই ঘোষণা দেন তিনি।
আজ বুধবার (১১ ডিসেম্বর) বেলা ১১ টায় টিএসসিতে ২০২৩-২৪ সেশনে ভর্তি হতে আসা শিক্ষার্থীদের অভিভাবকের সাথে বিশ্বিবদ্যালয়ের প্রশাসনিক বডির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনাকরেন শেকৃবির ছাত্র পরামর্শক অধ্যাপক ড. মো. আশাবুল হকে। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শেকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল লতিফ এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড.মো.বেলাল হোসেন, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক আবুল বাশার, অধ্যাপক জাকির হোসেন, প্রক্টর, পোস্ট গ্রাজুয়েট স্টাডিজ ডিন, কৃষি অনুষদের ডিন, এএসভিএম অনুষদের ডিন, এফএএমএস অনুষদের ডিন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি ও অভিভাবকবৃন্দ।
অভিভাবকদের মধ্যে থেকে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আন্জুমান আরা বলেন, অভিভাবকদের সাথে মতবিনিময় সভা এটা ইউনিক অনুষ্ঠান। রাজনীতি মুক্ত ক্যাম্পাস গড়ে তোলা, পড়ালেখার মান উন্নতি, হলে র্যাগিং না হওয়া ও খাবারের মান উন্নত করার জন্য অনুরোধ রইলো।
অভিভাবক মাকসুদ হাসান বলেন, মেয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য হলের গেইট বন্ধের বিষয়ে রাত ৮ টার মধ্যেই বন্ধ করা উচিৎ। স্বাধীনতা ভালো কিন্তু বেশি স্বাধীনতা ভালো নাহ।
আরেকজন অভিভাবক গর্বের সাথে বলেন, আমি নিজেই মেট্রিক পাস করি নাই। আজকে মেয়ের ভর্তির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সাথে বসত পেরে অনক ভালো লাগছে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ বেলাল হোসেন বলেন, তিনটি বিজ্ঞান কখনো মানুষকে অভাবে রাখে না। কৃষি বিজ্ঞান, মেডিকেল বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তি। বর্তমান প্রশাসন অলরেডি সেশনজট কমানোর সকল উদ্যোগ গ্রহন করেছে। এছাড়াও হলগুলোতে ক্যান্টিন ডাইনিং এ খাবারের মান উন্নয়ন ও নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে বিভিন্ন প্রশিক্ষনমূলক প্রোগ্রাম চলতেছে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে শেকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আব্দুল লতিফ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখার মান উন্নয়নে হলের রিডিংরুম গুলোতো হাই স্পিড নেটওয়ার্ক সংযোগ করা হয়েছে। ফলে প্রযুক্তির সহযোগিতার পড়ালেখায় নতুনত্ব সৃষ্টি হবে। মাদকের ভয়াবহতা থেকে শিক্ষার্থীদের রক্ষা করতে কমিটি গঠন করা হবে।
