মৌলভীবাজার প্রতিনিধিঃ
ফেসবুক স্টোরিতে হা.হা.. রিয়েক্ট দেওয়াকে কেন্দ্র করে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে এক যুবক ছুরিকাঘাতে আহত হয়েছে৷ শ্রীমঙ্গলের কলেজ সড়কের একটি গেস্ট হাউজের পাশে ঘটনাটি ঘটে৷ ছুরিকাঘাতে আহত ব্যক্তির নাম স্বপ্ন দাশ (১৯)৷
প্রত্যক্ষদর্শীসূত্রে জানা যায়, রাত আটটার দিকে আহত স্বপ্ন ও অভিযুক্ত তানভীর হোসেনের মধ্যে তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে তানভীর স্বপ্নকে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। স্বপ্নের চিৎকারে আশেপাশের মানুষ জড়ো হলে তানভীর সেখান থেকে পালিয়ে যায়। পরে আহত অবস্থায় স্বপ্নকে প্রথমে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতাল ও পরে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানেই তার চিকিৎসা চলছে।
আহত স্বপ্ন দাশ জানান, বেশ কিছুদিন ধরেই তানভীর রাস্তাঘাটে আমাকে বিরক্ত করতো। আমি সাইকেল নিয়ে বের হলে সে আমাকে গাড়ী দিয়ে চাপা দেওয়ার চেষ্টা করতো, মেসেঞ্জারে আমাকে গালাগালি করতো। ফেসবুকে আমি একটা স্টোরি দেই, সেই স্টোরিতে তানভীর হা.হা.. রিয়েক্ট দেয়। রিয়েক্ট দেওয়া নিয়ে তার সাথে আমার তর্ক হয়। পরে সে আমাকে গ্রীনলিফ গেস্ট হাউজ আমার কর্মস্থল থেকে ডেকে নিয়ে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। আমি চিৎকার দিলে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে সে পালিয়ে যায়। এসময় আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলি, পরে আর কিছু বলতে পারিনা।
এদিকে এই ঘটনায় অভিযুক্ত তানভীর শহরের কালীঘাট সড়কের ব্যবসায়ী মধু মিয়ার ছেলে।
অভিযুক্ত তানভীর ও তার পরিবারের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
আহত স্বপ্ন দাশ এর মামা ও গ্রীনলিফ গেস্ট হাউজ এর প্রতিষ্ঠাতা এস কে দাস সুমন জানান, স্বপ্ন দাশকে ফেসবুকে তর্কের ঘটনাকে কেন্দ্র করে তাকে হত্যার উদ্দেশ্য কলেজ রোডে দেশীয় অস্ত্র দ্বারা এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মারাত্মক আহত করা হয় রাতে। উক্ত ঘটনায় কালীঘাট রোডের ব্যবসায়ীর ছেলে সন্ত্রাসী তানভীর নেতৃত্ব দেয়। এরকম সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা যেন আমাদের শান্তির শহর শ্রীমঙ্গল আর না হয়। এসব সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনার জন্য শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশকে বিনীতভাবে অনুরোধ করছি। আমার ভাগীনার অবস্থা ভালো না। অনেক রক্তকরন হয়েছে। আমরা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি।
এ বিষয়ে শ্রীমঙ্গল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিনয় ভূষণ রায় বলেন, এ ব্যাপারে থানায় এখনও কোন অভিযোগ হয় নি। অভিযোগ পেলে আমরা ব্যবস্থা নিবো।