ঢাকারবিবার , ১২ মে ২০২৪
Tanim Cargo
আজকের সর্বশেষ সবখবর

অনলাইনে বিজ্ঞাপণ দেখে ডলার আয়ের প্রলোভনে প্রতারণা

আজকের বিনোদন
মে ১২, ২০২৪ ২:২৩ পূর্বাহ্ণ । ৩১৮ জন
Link Copied!
দৈনিক আজকের বিনোদন সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

শহীদুল ইসলাম নেত্রকোনা প্রতিনিধি :

নেত্র্রকোনার মদনে অনলাইনে বিজ্ঞাপণ দেখে ডলার আয়ের প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে এলাকার লোকজনের থেকে ৪ কোটি ৮৩ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনায় করা মামলায় দুই যুবককে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
কারাগারে থাকা ওই দুই যুবক হলেন, মদন উপজেলার দৌলতপর গ্রামের সুলতান মিয়ার ছেলে সোহেল মিয়া (৩৮) ও একই গ্রামের মো.শাহজাহান তালুকদারের ছেলে মোজাম্মেল হক ঝুটন (৩৩)।
এছাড়া এ মামলার অপর আসামিসোহেল মিয়ার স্ত্রী  লাভলী আক্তার (৩২) নামে এক নারী জামিনে রয়েছেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মদন থানার মো.হারুন অর রশিদ শনিবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত ২০ এপ্রিল ওই দুই যুবকের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান আদালত।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের শুরুতে দৌলতপর গ্রামের  মোজাম্মেল হক ঝুটন, সোহেল মিয়া ও তার স্ত্রী লাভলী আক্তার মিলে অনলাইনে বিজ্ঞাপণ দেখে আয় করা যায় বলে এলাকাবাসীকে জানায়। তারা পাইকো নামে একটি অ্যাপ মোবাইলে ডাউনলোড করে এতে বিজ্ঞাপণ দেখলে ডলার আয় করা যায় বলে জানায়। সেজন্য একেকজন গ্রাহককে ৮০- ১ লাখ পর্যন্ত টাকা ইনভেস্ট করতে হয়। গ্রামের কয়েকজন প্রথমে সেই অ্যাপে আইডি খুলে বিজ্ঞাপণ দেখে কিছু ডলার আয় করে। বিজ্ঞাপণ দেখে পাওয়া ডলার পাশের একটি দোকানে ভাঙিয়ে টাকা তুলেছেন তারা। এটা দেখে আশপাশের ৪-৫ গ্রামের অন্তত ৪০০ লোক তাদের অ্যাপে আইডি খুলে। সোহেল, লাভলী ও ঝুটন গ্রামের মানুষের আগ্রহ দেখে তাদের আও বেশি করে টাকা ইনভেস্ট  করতে বলে। যত বেশি ইনভেস্ট তত বেশি আয় হবে বলে তাদের জানায়। এতে ৪-৫ গ্রামের অন্তত ৪০০ মানুষ ৪ কোটি ৮৩ হাজার টাকা রাতারাতি ইনভেস্ট করে। এর পরদিন গত ৭ মার্চ সেই অনলাইন সাইটটি বন্ধ হয়ে যায়। হতাশ গ্রামবাসী সোহেল, লাভলী ও ঝুটনের সাথে এ বিষয়ে যোগাযোগ করলে টাকা না দিয়ে উল্টো তাদের নানা ধরণের হুমকি দেয়। এ নিয়ে এলাকাবাসী মিছিল মিটিং করেও কোন ফল পায়নি।
পরে দৌলতপুর গ্রামের ভুক্তভোগী মো.তৈমুর তালুকদার বাদী হয়ে আদালতে ওই তিন জনের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে মামলা করেন। আদালতের নির্দেশে ৩০ মার্চ মামলাটি মদন থানায় নখিভুক্ত করা হয়। এদিকে আসামিরা উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে আসেন।
জামিনের মেয়াদ শেষে গত ৩০ এপ্রিল নেত্রকোনা জেলা আদালতে হাজির হলে সোহেল ও ঝুটনের জামিন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। আর লাভলীর জামিন মঞ্জুর করেন।
মামলার বাদী তৈমুর তালুকদার বলেন, প্রতারণা করে ওই তিনজন আমার ৮৩ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।এছাড়া কয়েক গ্রামের ৪ শতাধিক মানুষের কাছ থেকে ৪ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মদন থানার মো. হারুন অর রশিদ বলেন, আসামিরা উচ্চ আদালত থেকে জামিনে ছিলেন। জামিনের শর্তানুযায়ী নেত্রকোনা আদালতে হাজির হয়ে ফের জামিন আবদেন করেন। পরে আদালত সোহেল ও ঝুটনের জামিন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। আর লাভলীর জামিন মঞ্জুর করেন। সোহেল ও ঝুটন এখনো কারাগারে রয়েছেন।

Tanim Cargo
Tanim Cargo