ঢাকাবৃহস্পতিবার , ৩০ মে ২০২৪
  • অন্যান্য

ঘূর্ণিঝড় পরবর্তিতে জমে উঠেছে শার্শার বেলতলা আমে বাজার, দাম আকাশচুম্বী

আজকের বিনোদন
মে ৩০, ২০২৪ ৭:০৯ অপরাহ্ণ । ৩৭ জন
Link Copied!
দৈনিক আজকের বিনোদন সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আরিফুজ্জামান আরিফ :
জমে উঠেছে দক্ষিণ বঙ্গের শার্শার বেলতলা আমের বাজার।শুরুর দিকে যখন গোবিন্দভোগ, গোপালভোগ, গোলাপখাস সহ আটির আম বাজরে আসে তখন স্বাভাবিক ছিল আমের বাজার।কিন্তু ঘূর্ণি ঝড় রেমাল পরবর্তি সময়ে দুই তিন দিনের মধ্যেই আমের বাজারে যেন আগুন লেগেছে।এবছর আমের  ফলন স্বাভাবিক হওয়াতে যশোর ও সাতক্ষীরা জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে আসছে বিভিন্ন জাতের আম,সাথে সাথে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসছে পাইকাররা।
গত বছর উল্লেখযোগ্য তেমন কোন  ঝড়ের কবলে পড়তে হয়নি আম চাষিদের,আমের দামও সাভাবিক ছিলো যার ফলে সাবলম্বী হয়েছে আম চাষিরা।এবার তো আল্লাদে আট-খানা!মুখ থেকে হাসি নামতেই চাইছেনা আম চাষিদের।হিমসাগর আম ১৮শ থেকে এক লাফে ৪৫শ টাকা,লেংড়া আম ১৭শ থেকে ৩৩শ টাকা,আম্রপলি ১১শ থেকে ২৬শ টাকা পর্যন্ত।
এবছর আম ভাঙ্গার প্রথম দিকে কালবৈশাখী ঝড়ে সাতক্ষীরার কয়রা,ঝাউডাঙ্গা ও কলারোয়া এবং যশোরের মনিরামপুর,ঝিকরগাছা ও শার্শা উপজেলার কোন অংশে আমের তেমন কোন  খয়ক্ষতি হয়নি।চলতি বছরের মে মাসের শুরুর দিকে আম ভাঙ্গা শুরু হয়।তবে যশোরের শার্শা ও সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে লেংড়া আম ও হিমসাগর আম ভাঙ্গার তারিখ নির্ধারন করা হয়।ফলে আমচাষী ও বাগান মালিকেরা একযোগে আম ভাঙ্গতে শুরু করে  ফলে চাহিদার তুলনায় যোগান বেশি হওয়াতে রেমাল  ঘূর্ণি ঝড়ের পূর্বে আমের দাম কম ছিল মন প্রতি বাজার মূল্য প্রকার ভেদে ১১শ থেকে ২২শ টাকা।যেটি রেমালের (ঘূর্ণিঝড়ের) পরে ২৫শ টাকা থেকে এ গ্রেডের আম ৪৫শ টাকা পর্যন্ত হয়েছে।
বর্তমানে আমের বাজার মূল্য দ্বিগুন হওয়াতে খুবই খুষি আম চাষিরা।শার্শার টেংরা গ্রামের আমচাষী আজগর আলী ও জিয়ারুল বলেন বর্তমান আমের বাজারে আমের মূল্য বৃদ্ধি গতবছরের চেয়ে দ্বিগুন তাই লাভও দ্বিগুন হবে আম চাষিদের। আসছে দিন গুলোতে  আমের দাম আরও বাড়তে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
শার্শা উপজেলা কৃষি অফিসার দিপক  কুমার বলেন আম চাষিরা এবার ব্যাপক লাভবান এত বেশি আমের দাম পূর্বে কখনও পাননি আম চাষিরা,তাছাড়া কৃষি অফিসের  তদারকি ছিল আমের মুকুল আসা থেকে আম ভাঙা ও বাজার করণ পর্যন্ত।তিনি আরও বলেন চলতি বছরে ইতিমধ্যে শার্শা উপজেলা থেকে ২ মেট্টিক টন লেংড়া ও হিমসাগর আম বিদেশে রপ্তানি করা হয়েছে।