মাজহারুল রাসেল :
এবারের কোরবানির হাটে পশু তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন সোনারগাঁও উপজেলার খামারিরা। ক্রেতার নজর কাড়তে প্রাকৃতিক উপায়ে পশু মোটাতাজা করে ভালো দামের আশায় দিন-রাত পরিশ্রম করছেন তারা।
পশু পালন লাভজনক হওয়ায় সোনারগাঁয়ে প্রতি বছরই বাড়ছে খামারের সংখ্যা। অনেকে পারিবারিকভাবেই গবাদি পশু লালন-পালন করেন। এমনই একজন খামারি হলেন
সোনারগাঁও উপজেলার সনমান্দী ইউনিয়নের কাফাইকান্দা গ্রামের তার মালিকানাধীন সোনারগাঁও ডেইরি ফার্মে গত চার বছর ধরে আমেরিকান ফ্লাকবি সিনবাদ ও আলাল নামের ষাঁড়টিসহ বিভিন্ন জাতের মোট ৭০টি ষাঁড় লালন পালন করছেন। তার খামারে প্রতিদিন বিভিন্ন স্থান থেকে ক্রেতারা গরু দেখতে আসছেন।
আসন্ন ইদুল আযহাকে সামনে রেখে এ বছর ২৭৮০ জন খামারি সোনারগাঁয়ের বিভিন্ন গ্রামে কোরবানিতে বিক্রির জন্য পশু মোটাতাজাকরণ করেছেন।
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাক্তার মো. ফারুক হোসেন বলছেন, কোরবানির জন্য সব দরকারি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
সরেজমিনে সোনারগাঁয়ে বিভিন্ন খামারে গিয়ে দেখা গেছে,খামারিরা বিভিন্ন পশুর হাটে বিক্রির জন্য পালিত পশুগুলোকে প্রস্তুত করছেন। খামারিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গো খাদ্যের দাম কয়েক দফায় বৃদ্ধি পাওয়ায় লাভের আশঙ্কা কম তবে ভারতীয় গরু বাজারে না আসলে হয়তো তাদের পালিত পশু বিক্রি করে কিছুটা লাভের মুখ দেখতে পারবেন।