ঢাকাসোমবার , ৮ জুলাই ২০২৪
Tanim Cargo
আজকের সর্বশেষ সবখবর

লাকি-মতিউর দম্পতিকে তলবের আগেই ৮ কোটি টাকা উত্তোলন

আজকের বিনোদন
জুলাই ৮, ২০২৪ ৩:৩২ পূর্বাহ্ণ । ২১৭ জন
Link Copied!
দৈনিক আজকের বিনোদন সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আশিকুর রহমান :-

ছাগলকাণ্ডে আলোচিত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক কর্মকর্তা মতিউর রহমান ও তাঁর প্রথম স্ত্রী রায়পুরা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান লায়লা কানিজ লাকির ব্যাংক হিসাবে ১২ কোটি টাকার হদিস মিলেছে। তবে এর মধ্য থেকে হিসাব তলবের আগেই তড়িঘড়ি করে ৮ কোটি টাকা তুলে নিয়ে গেছেন তিনি।
বর্তমানে আছে মাত্র ৪ কোটি টাকা। এসব টাকা লেনদেনে এ যাবৎকালে তাঁরা ১১৫টি ব্যাংক হিসাব ব্যবহার করেছেন। কোনো কোনো হিসাবে ২-৫ বার লেনদেন করেই বন্ধ করে দেওয়া হয়। বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) পর্যলোচনায় উঠে এসেছে এসব তথ্য। তা আবার এগুলো পাঠানো হয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে। লাকির সতীনের ছেলে মুশফিকুর রহমান ইফাতের ১৫ লাখ টাকায় ছাগল কেনার খবর প্রকাশিত হওয়ার পর লাকি-মতিউর দেশজুড়ে আলোচিত হন। পরে বিভিন্ন গণমাধ্যমে তাদের পরিবারের দেশে-বিদেশে বিপুল সম্পদের তথ্য প্রকাশ হতে থাকলে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তাদের ও পরিবারের সদস্যদের সম্পদের খোঁজে কাজ শুরু করে। গত ২৫ জুন দুদকের অনুরোধে মতিউর রহমান, তার দুই স্ত্রী ও পাঁচ সন্তানের ব্যাংক হিসাব স্থগিত করে আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। একই সঙ্গে তাদের মুঠোফোনে আর্থিক সেবার (এমএফএস) হিসাব ও শেয়ারবাজারের বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) হিসাব জব্দ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী, ওই ৮জনের ব্যাংক, এমএফএস ও বিও হিসাবের যাবতীয় তথ্য চেয়েছে বিএফআইইউ। তথ্য চাওয়ার ৫ কার্যদিবসের মধ্যে তাদের ব্যাংক হিসাব খোলার ফরম, কেওয়াইসি ও লেনদেন বিবরণী জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। পরে ব্যাংকগুলো থেকে তাদের ব্যাংক হিসাবের তথ্য দেওয়া হয় বিএফআইইউর কাছে। তথ্য পেয়ে সংস্থাটি দুদকের কাছে ব্যাংক হিসাবের তথ্য-উপাত্ত পাঠিয়েছে। এদিকে দেখা যায়, প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, গত ১০ জুন আলোচিত মতিউর-লাকির ব্যাংক হিসাবগুলোতে প্রায় ১২ কোটি টাকা ছিল। পরে ছেলের ১৫ লাখ টাকার ছাগল ক্রয়ের বিষয়টি বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তারা ১০ থেকে ২০ জুনের মধ্যে ব্যাংক থেকে তড়িঘড়ি করে ৮ কোটি টাকা তুলে নেন। পরে বিএফআইইউ থেকে ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হলে বাকি চার কোটি টাকা আর তুলে নেওয়ার সুযোগ পাননি। জানা গেছে, মতিউর-লাকি ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে এখন পর্যন্ত ১৬টি বিও হিসাবের সন্ধান পাওয়া গেছে। এর মধ্যে লাকির স্বামী মতিউর রহমানের নামে চারটি, লায়লা কানিজ লাকির নামে দুটি, প্রথম পক্ষের ছেলে আহমেদ তৌফিকুর রহমান অর্ণবের নামে দুটি, প্রথম পক্ষের মেয়ে ফারজানা রহমান ঈপ্সিতার নামে তিনটি ও দ্বিতীয় স্ত্রী শাম্মী আখতার শিভলীর নামে পাঁচটি বিও হিসাব রয়েছে। তবে তার তিন সন্তানের নামে এখন পর্যন্ত কোনো বিও হিসাবের হদিস মেলেনি বলেও জানা যায়।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, ছাগলকান্ডে লাকি-মতিউর সারাদেশে যখন সমালোচিত। তাঁরা তখন দুদকের ভয়ে তাদের শত শত ভরি স্বর্ণালংকার তাদের গাড়ির ড্রাইভার ও নিকট আত্মীয়-স্বজনের কাছে গচ্ছিত রাখেন বলে আশ্বস্ত করেন।

Tanim Cargo
Tanim Cargo