নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি:
নীলফামারীর সৈয়দপুর রেলওয়ের কর্মকর্তা সুলতান মৃধাকে রিমান্ড শেষে আবার জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। তিনি এসএসএই (পথ) তথা পিডাব্লিউ অফিসের ইনচার্জ। বুধবার (২৫ জুন) বিকেল ৫ টায় সৈয়দপুর রেলওয়ে থানা পুলিশ তাঁকে নীলফামারী পৌঁছে দিয়েছে।
এর আগে গত মঙ্গলবার আদালত তাঁর একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে। এর প্রেক্ষিতে ওইদিন বিকেল ৫ টায় তাঁকে জিজ্ঞেসাবাদের জন্য নিজ জিম্মায় নেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সৈয়দপুর রেলওয়ে থানার এস আই মাহবুব রশীদ।
সুলতান মৃধার বিরুদ্ধে নিজ অফিসের স্টোর ও ইয়ার্ডে রক্ষিত রেললাইন (পাত) গ্যাস দিয়ে কেটে রাতের আধারে বিক্রি ও পাচারের অভিযোগে মামলা রয়েছে। তাঁর উর্ধতন কর্মকর্তা পার্বতীপুর রেলওয়ের সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী তৌহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে গত বৃহস্পতিবার রাতে (১৯ জুন) ওই মামলা করেছেন।
ওইদিনই বেলা ৩ টায় রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী (আরএনবি) ও রেলওয়ে পুলিশ এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তার যৌথ তদন্তে অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত হওয়ায় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন আদালতের মাধ্যমে তাঁকে জেল হাজতে পাঠানো হয়। দুই দিন তাঁর জামিন আবেদন করা হলেও দালত মঞ্জুর করেনি।
তদন্ত কর্মকর্তা মাহবুব রশীদ বলেন, মামলায় সুলতান মৃধা প্রধান আসামী। তবে অজ্ঞাতনামা আরও ৬-৭ জন আসামী রয়েছে। তাদের বিষয়ে তথ্য জানতেই রিমান্ডে নেয়া হয়েছিল। জিজ্ঞেসাবাদে সে ব্যাপারে বেশ অগ্রগতি হয়েছে। তবে তদন্তের স্বার্থে এখনই তা প্রকাশ করা যাবেনা।
উল্লেখ্য, গত ১৮ জুন দিবাগত রাতে পিডাব্লিউ অফিসের স্টোর ও ইয়ার্ডে রাখা রেললাইন গ্যাস দিয়ে কেটে টুকরো টুকরো করে বিক্রির পর ভোরে দুইটা পিক-আপে পাচার করা হয়। এই তথ্য প্রমাণ নিশ্চিত হয়ে সাংবাদিক শাহজাহান ও জাকির হোসেন পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানান।
কিন্তু তাতেও সংশ্লিষ্টরা নির্বিকার থাকায় সকাল ১১ টায় এসংক্রান্ত খবর একটা অনলাইন পত্রিকায় প্রকাশ করেন সাংবাদিক শাহজাহান। এরপর টনক নড়ে রেলওয়ের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের। তাৎক্ষণিক তদন্তের নির্দেশ দেন। সে অনুযায়ী প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত হওয়ায় ইনচার্জ সুলতান মৃধাকে আটক ও মামলা দায়ের করা হয়।
