ঢাকামঙ্গলবার , ১২ নভেম্বর ২০২৪
  • অন্যান্য
Tanim Cargo
আজকের সর্বশেষ সবখবর

যে খাবারগুলো নিয়মিত খেলে শরীরের দুর্বলতা কেটে যাবে

Md. Saiful Islam Journalist
নভেম্বর ১২, ২০২৪ ১০:৫৩ পূর্বাহ্ণ । ৬৭ জন
Link Copied!
দৈনিক আজকের বিনোদন সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

লাইফস্টাইল ডেস্ক: কর্মব্যস্ততার যুগে কাজটাকেই বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয়। বর্তমানে মানুষ কাজে এতোটাই ব্যস্ত থাকে যে নিজের শরীরের যত্নের কথাও ভুলে যায়। ফলে কাজের সময় মাঝেমধ্যেই শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে। আর আমরা এর সঠিক কারণ খুঁজে পাই না। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, খাবারের অনিয়মের কারণে এমনটা হতে পারে। তাই এমন কিছু খাবার আছে যা নিয়মিত খেলে শরীরের দুর্বলতা কেটে যাবে। বিশেষ করে সকালের খাবার সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। নাস্তায় কী থাকছে, তার উপর নির্ভর করে শরীর সারাদিনে কতটা ভালো থাকবে।

এ ছাড়া দিনভর শরীরের ওপর দিয়ে ধকল তো কম যায় না। অফিসের কাজ, পারিবারিক নানা দায়িত্ব— সব কিছু একসঙ্গে সামলে ক্লান্ত হয়ে পড়ে শরীর। বিশেষজ্ঞদের মতে, ক্লান্তি এবং দুর্বলতার সঙ্গে লড়াই করতে সকালে বাড়ি থেকে বের হওয়ার আগে এমন কিছু খাবার খেতে হবে যেগুলো শরীর চাঙ্গা রাখতে সাহায্য করবে।চলুন সেসব কী কী জেনে নেওয়া যাক:

দুগ্ধজাত খাবার

গবেষকরা বলছেন, নিয়ন্ত্রিত মাত্রায় লো ফ্যাট ডেয়ারি ফুড গ্রহণ করলে শরীর ভেতর থেকে সুস্থ হয়। এই ধরনের দুগ্ধজাত খাবারে রয়েছে উচ্চ গুণাগুণ সম্পন্ন প্রোটিন, কার্ব, এসেনসিয়াল প্রোটিন, ভিটামিন, পটাশিয়াম, ক্যালশিয়াম ইত্যাদি। তাই এই খাবারগুলো অবশ্যই ডায়েটে রাখার পরামর্শ পুষ্টিবিদরেদ। চাইলে বাজার থেকে লো ফ্যাট দুধ কিনে ঘরেই বানিয়ে নিতে পারেন দই কিংবা ছানা। কিছুদিন এই খাবার খেলে সহজেই শারীরিক সুস্থতার পার্থক্য বোঝা যাবে।

ফলমূল ও শাকসবজি

পুষ্টিবিদদের মতে, যেকোনো শাকসবজি ও ফলমূল হচ্ছে ডায়েটের ভিত। এসব খাবার শরীরের জন্য খুবই উপকারী। এতে থাকা ফাইবার, ভিটামিন, খনিজ ও ফ্লুইড শরীর সুস্থ রাখে। এমনকি পেশী তৈরিতেও সাহায্য করে। তবে এতে বেশি পরিমাণে প্রোটিন থাকে না। প্রোটিনের সংস্থান করতে এসব খাবারের পাশাপাশি অন্যান্য খাবারও খেতে হবে। তবেই পেশীর ক্ষমতা বাড়বে; অসুখ থাকবে দূরে; কেটে যাবে শারীরিক দুর্বলতা।

ডিম

ডিম শরীরের জন্য খুবই উপকারী। এটি প্রোটিনের ভালো উৎস। শুধু তাই নয়, দেহ এই প্রোটিন খুব সহজে গ্রহণ করে নেয়। তবে অনেকেই ডিমের সাদা অংশ খেয়ে কুসুম ফেলে দেন। এটা ঠিক নয়। কারণ কুসুমে রয়েছে লিউটিন, যা চোখের জন্য ভালো। তাই কোলেস্টেরল, ডায়াবেটিস না থাকলে অনায়াসে ডিমের কুসুম খেতে পারেন।

কম চর্বিযুক্ত মাংস

মাংসে প্রচুর পরিমাণে খনিজ-পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও সোডিয়াম থাকে। চর্বিহীন মাংসে ক্লোরাইড, বাইকার্বোনেট ও অ্যাসিড ফসফেট থাকে যা দেহ সুরক্ষিত রাখে। তাই পেশির ক্ষমতা বাড়াতে চাইলে কম চর্বিযুক্ত মাংস খেতে হবে। আর খাবার তালিকা থেকে একেবারেই বাদ দিতে হবে রেডমিট। এ ছাড়া খেতে পারেন মুরগির মাংস। তবে মুরগির সব অংশের মধ্যে বুকের মাংস খাওয়া ভালো। এই অংশের মাংসে চর্বি থাকে না। আর এতে প্রোটিনের পরিমাণ বেশি রয়েছে। যা পেশি তৈরিতে সাহায্য করে।

উদ্ভিজ্জ প্রোটিন

শিমের বীজে প্রচুর পরিমাণে উদ্ভিজ্জ প্রোটিন রয়েছে। এই প্রোটিন দেহের জন্য উপকারী। এ ছাড়া ওটস, ডালিয়ার মতো হোল গ্রেইনে রয়েছে ভরপুর ফাইবার যা রক্তে চিনির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে, ওজন কমায়। পাশাপাশি বাদাম খান। আমন্ড, পেস্তা, ওয়ালনাট খাওয়া অত্যন্ত উপকারী। এতে রয়েছে প্রোটিন, ভিটামিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। ফলে পেশির জোর বাড়ে কয়েকগুণ।

Tanim Cargo