নবী কারিম সা. ও সাহাবায়ে কেরামের নিয়মিত আমল ছিলো এটি। যে কোনো প্রয়োজনে তারা সালাতুল হাজত পড়তেন। আল্লাহর কাছে মন খুলে সাহায্য কামনা করতেন। সালাতুল হাজত একটি সাধারণ নফল নামাজ। এই নামাজ পড়ার নির্দিষ্ট কোনো নিয়ম-নীতি নেই। যে কোনো দিন, যে কোনো সময় এটি পড়তে পারবে। সালাতুল হাজাত অর্থ প্রয়োজন পূরণের নামাজ। এটি বিশেষ নফল নামাজ। উত্তম ইবাদত।
মুফতি আবদুল্লাহ তামিম
৩ মিনিটে পড়ুন
বিশেষ কোন হালাল চাহিদা পূরণের জন্য আল্লাহর উদ্দেশ্যে দুই রাকাত নফল সালাত আদায় করাকেই সালাতুল হাজত বলা হয়। (ইবনু মাজাহ ১৩৮৪) পবিত্র কোরআনে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বলেন, প্রয়োজন পুরনের জন্য বান্দা নিজ প্রভুর নিকটে সবর ও সালাতের মাধ্যমে সাহায্য প্রাথনা করবে। (সুরা বাকারাহ ১৫৩)
সালাতুল হাজত পড়ার পর বিশেষভাবে হাদিস শরিফে নিম্নোক্ত দুয়া পাঠের বর্ণনা আছে, ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহুল হালিমুল কারিম। সুনহানাল্লাহি রব্বিল আরশিল আজিম। আলহামদুলিল্লাহি রব্বিল আলামিন। আসআলুকা মুজিবাতি রহমাতিকা অয়া আযা- ইমা মাগফিরাতিকা অয়াল গনিমাতা মিন কুল্লি বিররিউ অয়াস সালামাতা মিন কুল্লি ইসমিন লা তাদালি-যাম্বান ইল্লা অয়াফার তা হু অয়ালা খাম্মান অয়ালা হাম্মান ইল্লা ফাররাজতাহু অয়ালা হাজাতান হিয়া লাকা রিবন ইল্লা কদাইতাহা ইয়া আর হামার রাহিমিন।
সালাতুল হাজত নামাজের নিয়ম
সালাতুল হাজত নামাজের আলাদা কোনো নিয়ম নেই। অন্য যে কোনো নফল নামাজের মতোই উত্তমভাবে অজু করে দুই রাকাত নামাজ পড়বে। চাইলে চার রাকাতও পড়া যাবে। নামাজ শেষে আল্লাহ তাআলার কাছে দোয়া করবে। নবী করিম সা.-এর ওপর দরুদ শরিফ পাঠ করবে, নিজের মনের কথা আল্লাহর কাছে খুলে বলবে। কোনো সমস্যা বা পেরেশানি থাকলে সেটাও খুলে বলবে। আল্লাহর দরবারে সাহায্য কামনা করবে।
হযরত আবদুল্লাহ ইবনু আবু আওফা আল-আসলামি রা. থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের নিকট বের হয়ে এসে বলেন আল্লাহর নিকট অথবা তার কোন মাখলুকের নিকট কারো কোন প্রয়োজন থাকলে, সে যেন অজু করে দু রাকাত নামাজ পড়ে। এরপর এ দোয়া পাঠ করে।
لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللهُ الْحَلِيْمُ الْكَرِيْمُ سُبْحَانَ اللهِ رَبِّ الْعَرْشِ الْعَظِيْمِ الْحَمْدُ ِللهِ رَبِّ الْعَالَمِيْنَ. اَسْأَلُكَ مُوْجِبَاتِ رَحْمَتِكَ وَعَزَائِمَ مَغْفِرَتِكَ وَالْغَنِيْمَةَ مِنْ كُلِّ بِرٍّ وَالسَّلاَمَةَ مِنْ كُلِّ إِثْمٍ لاَتَدَعْ لَنَا ذَنْبًا إِلاَّ غَفَرْتَهُ وَلاَ هَمًّا إِلاَّ فَرَّجْتَهُ وَلاَ حَاجَةً هِىَ لَكَ رِضَا إِلاَّ قَضَيْتَهَا يَا أَرْحَمَ الرَّاحِمِيْنَ
উচ্চারণ: লা ইলাহা ইল্লাল্লাহুল হালিমুল কারিম। সুবহানাল্লাহি রব্বিল আরশিল আজিম। আলহামদুলিল্লাহি রব্বিল আলামিন। আছআলুকা মু’জিবাতি রহমাতিকা অয়া আযা- ইমা মাগফিরাতিকা অয়াল গনিমাতা মিন কুল্লি বিররিউ অয়াস সালামাতা মিন কুল্লি ইছমিন লা তাদা’লানা- যাম্বান ইল্লা গাফারতাহু ওয়ালা হাম্মান ইল্লা ফাররাজতাহু অয়ালা হাজাতান হিয়া লাকা রিযান ইল্লা কযাইতাহা ইয়া আর হামার রাহিমিন।
অর্থ: আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই, তিনি ধৈর্যশীল ও মহামহিম। মহান আরশের মালিক আল্লাহ তা’আলা খুবই পবিত্র। সকল প্রশংসা সারা বিশ্বের প্রতিপালক আল্লাহ তাআলার জন্য। (হে আল্লাহ!) আমি তোমার নিকট তোমার রহমত লাভের উপায়সমূহ, তোমার ক্ষমা লাভের কঠিন ওয়াদা, প্রত্যেক ভাল কাজের ঐশ্বর্য এবং সকল খারাপ কাজ হতে নিরাপত্তা চাইছি।
হে মহা অনুগ্রহকারী! আমার প্রতিটি অপরাধ ক্ষমা কর, আমার প্রতিটি দুশ্চিন্তা দূর করে দাও এবং যে প্রয়োজন ও চাহিদা তোমার সন্তোষ লাভের কারণ হয় তা পরিপূর্ণ করে দাও। (জামে তিরমিজি ৪৭৯) সে দুনিয়া ও আখিরাতের জন্য যা চাওয়ার আছে তা প্রার্থনা করবে। কারণ তা আল্লাহ্ই নির্ধারিত করেন। (সুনানে ইবনে মাজাহ হাদিস নাম্বারঃ ১৩৮৪)
হযরত আবদুল্লাহ ইবনু আবী আওফা রা. হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তির আল্লাহ তাআলার কাছে অথবা কোন আদম সন্তানের কাছে কোন প্রয়োজন রয়েছে সে যেন প্রথমে উত্তমরূপে অজু করে, তারপর দুই রাকাআত নামাজ আদায় করে, তারপর আল্লাহ তাআলার প্রশংসা করে এবং রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি দরুদ ও সালাম পাঠ করে, তারপর এ দোয়া পাঠ করে ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ….. আরহামার রাহিমিন’।
অর্থাৎ আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই, তিনি ধৈর্যশীল ও মহামহিম। মহান আরশের মালিক আল্লাহ তাআলা খুবই পবিত্র। সকল প্রশংসা সারা বিশ্বের প্রতিপালক আল্লাহ তা’আলার জন্য। (হে আল্লাহ!) আমি তোমার নিকট তোমার রহমত লাভের উপায়সমূহ, তোমার ক্ষমা লাভের কঠিন ওয়াদা, প্রত্যেক ভাল কাজের ঐশ্বর্য এবং সকল খারাপ কাজ হতে নিরাপত্তা চাইছি। হে মহা অনুগ্রহকারী! আমার প্রতিটি অপরাধ ক্ষমা কর, আমার প্রতিটি দুশ্চিন্তা দূর করে দাও এবং যে প্রয়োজন ও চাহিদা তোমার সন্তোষ লাভের কারণ হয় তা পরিপূর্ণ করে দাও। (জামে তিরমিজি ৪৭৯)
