কোরবান আরবি শব্দ। আভিধানিক অর্থ কাছে যাওয়া বা নৈকট্য অর্জন করা। ইসলামি ফিকহের পরিভাষায় কোরবানি হলো জ্ঞানসম্পন্ন, প্রাপ্তবয়স্ক মুসলিম ১০ জিলহজ সকাল থেকে ১২ জিলহজ সূর্যাস্তের পূর্ব পর্যন্ত সময়ের মধ্যে নিসাব পরিমাণ সম্পদ অর্থাৎ সাড়ে সাত ভরি স্বর্ণ বা সাড়ে বায়ান্ন ভরি রুপা অথবা এর যেকোনো একটির মূল্যের সমপরিমাণ নগদ অর্থ বা ব্যবসার পণ্যের মালিক থাকেন- তার জন্য কোরবানি করা ওয়াজিব হবে।
পৃথিবীর শুরু থেকে হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পর্যন্ত প্রত্যেক নবীর উম্মতের উপর কোরবানির বিধান ছিল। মহান আল্লাহ বলেন, ‘প্রত্যেক উম্মতের জন্য আমি কোরবানির বিধান রেখেছিলাম, যাতে তারা উক্ত পশু জবাই করার সময় মহান আল্লাহর নাম স্মরণ করে এ জন্য যে, তিনি চতুষ্পদ জন্তু থেকে তাদের জন্য রিজিক নির্ধারণ করেছেন।’ (সুরা হজ ৩৪)
অতঃপর যখন সে তার সাথে চলাফেরা করার বয়সে পৌঁছল, তখন সে বলল, হে প্রিয় বৎস, আমি স্বপ্নে দেখেছি যে, আমি তোমাকে জবাই করছি, অতএব দেখ তোমার কী অভিমত; সে বলল, হে আমার পিতা, আপনাকে যা আদেশ করা হয়েছে, আপনি তাই করুন। আমাকে ইনশাআল্লাহ আপনি অবশ্যই ধৈর্যশীলদের অন্তর্ভুক্ত পাবেন। অতঃপর তারা উভয়ে যখন আত্মসমর্পণ করল এবং সে তাকে কাত করে শুইয়ে দিল। তখন আমি তাকে আহ্বান করে বললাম, হে ইবরাহিম, তুমি তো স্বপ্নাদেশ সত্যিই পালন করলে! এভাবেই আমি সৎ কর্মপরায়ণদের পুরস্কৃত করে থাকি। (সুরা আস-সাফফাত, আয়াত: ১০২-১০৫)
