ইউরোপের অভিজাত দলের প্রতিযোগিতা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা পাঁচবার জিতেছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। প্রতিযোগিতাটির ইতিহাসে তার চেয়ে বেশি গোল করতে পারেনি আর কোনো খেলোয়াড়ই। ইউরোপে সবকিছু জয় করে সৌদি আরবে পা রেখে এখনও শিরোপাভাগ্য এই পর্তুগিজের জন্য প্রসন্ন হয়নি। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের রাজা এশিয়ার চ্যাম্পিয়ন্স লিগেও পারেননি চমক দেখাতে। তবে চলতি মৌসুমে সেই খরা ঘুচতে পারে রোনালদোর। প্রতিযোগিতাটির সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে ফেলেছে রোনালদোর দল আল নাসর।
শনিবার (২৬ এপ্রিল) এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের খেলায় ইয়োকোহামা এফ. মারিনোসকে ৪-১ গোলে হারিয়ে সেমিফাইনালে পা রেখেছে আল নাসর। এই ম্যাচে জোড়া গোল করেছেন আল নাসরের নতুন সেনসেশন জন ডুরান। রোনালদো ও সাদিও মানে বাকি গোল দুটি করেন।
ইয়োকোহামার পক্ষে একটি গোল শোধ করেন কোটা ওয়াতানাবে। ম্যাচ শেষ হওয়ার ১৭ মিনিট লাগে লাল কার্ড দেখে মাঠও ছাড়েন তিনি।
প্রিন্স আব্দুল্লাহ আল ফয়সাল স্টডিয়ামে আল নাসরের কাছে পাত্তাই পায়নি ইয়োকোহামা। বলের দখল থেকে শুরু করে গোলে শট নেয়া সবকিছুতেই বড় ব্যবধানে এগিয়ে ছিল আল নাসর।
তবে গোলের জন্য প্রথমার্ধের ২৭ মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে সৌদি ক্লাবটিকে। জন ডুরান ডেডলক ভাঙেন। ৪ মিনিট পর গোলের দেখা পান সাদিও মানে। পর্তুগিজ মিডফিল্ডার ওতাভিও তাকে বল বানিয়ে দেন।
এর ৭ মিনিট পর গোলের খাতা খোলেন রোনালদো। ব্রজোভিচের শট ঠেকিয়ে দিয়েছিলেন জাপানি ক্লাবটির গোলরক্ষক। ফিরতি বল কোলের কাছে পান রোনালদো। বল জালে জড়াতে ভুল করেননি এই পর্তুগিজ মহাতারকা।
চলতি এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সাত ম্যাচ খেলে ৮ গোল করলেন রোনালদো। আর সব মিলিয়ে চলতি মৌসুমে ৩৭ ম্যাচে ৩৩ গোল ও ৪টি অ্যাসিস্ট করেছেন তিনি। পেশাদার ক্যারিয়ারে এটা ছিল এই পর্তুগিজের ৯৩৪তম গোল। হাজার গোল থেকে আর মাত্র ৬৬টি গোল দূরে তিনি।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ফের গোল করেন ডুরান। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ৪ ম্যাচে ৪ গোল হলো তার। চলতি মৌসুমে এই তরুণ সব মিলিয়ে ১৪ ম্যাচে ৯ গোল করলেন।
এর চার মিনিট পরেই ইয়োকোহামার পক্ষে একটি গোল শোধ করেন কোটা ওয়াতানাবে। এর কিছুক্ষণ পরেই প্রথম হলুদ কার্ড দেখেন তিনি। ৬৭ মিনিটে রোনালদোকে মাঠ থেকে তুলে নেন কোচ। ৭৩ মিনিটে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন ওয়াতানাবে। বাকি সময়টা জাপানি ক্লাবটি ১০জন নিয়ে খেললেও আল নাসর আর ব্যবধান বাড়াতে পারেনি।
